জমি খারিজ বা নামজারি বা মিউটেশনের আবেদন ব্যয় ৭০ টাকা পরবর্তীতে সরকারি ফি সহ ১১০০ টাকা অনলাইনে পরশোধ করতে হয়– E Mutation
খারিজ বা নামজারি কি? – জমি নামজারী হল একটি কানুন যা জমির মালিকদের মালিকানার প্রমাণ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি আইনী দলিল যা জমির মালিকানা পরিচয় এবং জমির সীমানা, আয়তন, উপযুক্ততা এবং মালিকানার অবস্থান বর্ণনা করে। এটি জমি কেনার সময় এবং হাইপোথেকেশন দেওয়ার সময় প্রযোজ্য হয়। এছাড়াও জমি নামজারী ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের জমি লেনদেন ও ব্যবসায়িক গ্রহণের সময় প্রযোজ্য হয়। মিসকেস কী? নামজারির আবেদন নামঞ্জুর হলে করণীয় দেখে নিন
অনলাইনেই নাকি নামজারির আবেদন করা যায়? হ্যাঁ অনলাইনেই মিউটেশন আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যুক্ত করে মাত্র ৭০ টাকা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে নামজারি বা মিউটেশন আবেদন করা যায়। আবেদন অবস্থা অনলাইনে ট্র্যাক করে আবেদন খারিজ না হলে অবশিষ্ট ফি ১১০০ টাকা পেমেন্ট করতে হয়। অনলাইনে আবেদনের অবস্থা জানতে mutation.land.gov.bd/search-application এই লিংক ভিজিট করতে হয়। লিংক ভিজিট করে বিভাগ, আবেদন আইডি, এনআইডি নম্বর, ক্যাপচা এন্ট্রি বা যোগফল লিখে খুজুন এ ক্লিক করতে হয়। আপনি কারও পক্ষেও আবেদন করতে পারবেন। মিউটেশন করার নিয়ম ২০২৩ । ই নামজারি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
যার জমি বা ফ্ল্যাট তাকেই কি আবেদন করতে হয়? না। তার প্রতিনিধি হয়ে যে কেউ আবেদন করতে হবে। তবে দাতা-গ্রহীতার তথ্য দিতে হয়, দুজনেরই মোবাইল নম্বর এবং এনআইডি সহ অন্যান্য তথ্যাদি দিতে হয়। অরিজিনাল দলিলের স্ক্যান কপি আপলোড করলেই হবে। আবেদনের পর প্রতিটি প্রক্রিয়া বা ধাপ অনলাইনে দেখা যায় এবং কোন কারণে আবেদন না মঞ্জুর হলে তাও আপনি অনলাইনেই জানতে পারবেন। ই নামজারি করার নিয়ম । ভূমির ই-নামজারি করার জন্য ব্যবহার নির্দেশিকা ২০২২
মিউটেশন আবেদন ও ফি অনলাইনেই পরিশোধ করতে হবে / অনলাইনে ই নামজারি আবেদন অবস্থা দেখার নিয়ম
নামজারি হতে কত দিন লাগে? সাধারণ ক্ষেত্রে ২৮ (আটাশ) কার্য দিবস । প্রবাসীদের জন্য ( মহানগর এলাকায়) ১২ (বার) কার্য দিবস। প্রবাসীদের জন্য ( অন্যান্য এলাকায়) ০৯ (নয়) কার্য দিবস। সনদ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাগণের জন্য ১০(দশ) কার্য দিবস।গুরুত্বপূর্ণ/রপ্তানীমুখী/বৈদেশিক বিনিয়োগপুষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ০৭ (সাত) কার্য দিবস ।
Caption: Check You E mutation Status by Clicking here
ই মিউটেশন আবেদন যাচাই করতে করণীয় বা যেভাবে ই নামজারি আবেদনের অবস্থা ধাপে ধাপে দেখবেন।
- প্রথমে, আপনাকে mutation.land.gov.bd লিংকটি ভিজিট করতে হবে অথবা e mutation লিখে গুগল করতে হবে।
- দ্বিতীয়ত, গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে “আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” লিংকে ক্লিক করুন অথবা mutation.land.gov.bd লিংক ভিজিট করুন।
- তৃতীয়ত, বিভাগ, আবেদন আইডি নম্বর, এনআইডি নম্বর, যোগ করুন এ যোগফল লিখে খুজুন ক্লিক করতে হবে।
- চতুর্থত, খুজুন ক্লিক করলে বিস্তারিত তথ্য দেখাবে। যেমন- তফসিলের তথ্য দেখতে ক্লিক করুন, সংশ্লিষ্ট অফিস, আবেদনকারীর নাম, যার কাছে বর্তমানে আছে, বর্তমান অবস্থা- আবেদনপত্র গ্রহণ (খসড়া খতিয়ানসহ) ইত্যাদি দেখাবে।
- পঞ্চমত, এছাড়াও আবেদন পেমেন্টের তারিখ, সেটেলমেন্ট ব্যাংকে আবেদন সাবমিশনের চালান রিকোয়েস্টের তারিখ, সেটেলমেন্ট ব্যাংকে আবেদন সাবমিশনের চালান রিসিভের তারিখ, চালান নম্বর, আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য, খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবেদন প্রেরণ, শুনানির জন্য আদেশ, (শুনানির স্থানঃ———–), কানুনগো/অফিস সহকারী কর্তৃক প্রতিবেদন প্রদান, সার্ভেয়র কর্তৃক প্রতিবেদন প্রদান, নামজারি / জমাভাগের আবেদন মঞ্জুর / নামঞ্জুর, খতিয়ান প্রস্তুত, ডি সি আর পেমেন্টের তারিখ, সেটেলমেন্ট ব্যাংকে DCR পেমেন্টের চালান রিকোয়েস্টের তারিখ, সেটেলমেন্ট ব্যাংকে DCR পেমেন্টের চালান রিসিভের তারিখ, খতিয়ান প্রদান ইত্যাদি তথ্য দেখাবে।
ই নামজারি না মঞ্জুর হলে করণীয় কি?
অনলাইনে ই নামজারি আবেদন না মঞ্জুর হলে পুনরায় যথাযথ ডকুমেন্ট যুক্ত করে আবেদন করতে হবে। কি কারণে না মঞ্জুর হলো তা আপনি অনলাইনে জানতে পারবেন। সমস্যা বা চাহিত ডকুমেন্ট যুক্ত করে আপনি পুনরায় আবেদন করবেন। যদিও বর্তমানে সরাসরি না মঞ্জুর না করে তথ্য চাওয়ার বিধান রয়েছে, চাহিত তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে না মঞ্জুর করা যাবে। এমতাবস্থায় আপনি কোন দালাল বা তৃতীয় পক্ষের সাহায্য না নিয়ে নিজেই অনলাইনে ই মিউটেশন বা ই নামজারি বা খারিজের জন্য আবেদন করুন।